খবর ৭১: ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সারাদেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি খুশি হতে পারেনি বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদান চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘ভুল অসত্য তথ্য নিয়ে গতদিন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলন করলেন, বিভিন্ন দেশের মেট্রোর ভাড়া নিয়ে তিনি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন। আজকে পুরো দেশ খুশি অথচ তারা খুশি হতে পারছে না। এই যে রাজনৈতিক দৈন্য, এটি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক।’
আমি সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাবো যে, দায়িত্বশীলদের যেমন সমালোচনা হবে, যারা বিরোধী দলে থাকে তাদেরও একটা দায়িত্ব থাকে তাদেরও সমালোচনা হওয়া প্রয়োজন। আপনারা দুটি বিষয়ই দেখবেন।
‘আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের একচোখা নীতি নিয়ে দেখে না এবং যে সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারকে টেনে নামানোর আন্দোলনে ব্যস্ত, তাদেরকেও সরকারের অনুদান দেয়া হয় এবং হচ্ছে’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমলে ২০০১ সালে কলমের এক খোঁচায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ২৬ জন সাংবাদিককে বরখাস্ত করা হয়েছিল, অথচ আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের জন্য একজন সাংবাদিককেও বরখাস্ত করা হয়নি। সকল সাংবাদিকের জন্য গণমাধ্যমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৃষ্ট সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট দল-মত নির্বিশেষে সকল সাংবাদিককে সহায়তা দিচ্ছে।’
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ৩০৪ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা কল্যাণ অনুদান দেয়া হয়। এর সাথে ৬৮৪ জন সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রীর করোনা অনুদান থেকে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ২০১৫-১৬ থেকে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৫৮ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে কল্যাণ ও করোনা অনুদান হিসেবে ৩৪ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছে।
বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থী সম্বর্ধনা
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান এরপরই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘অনুভবে হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে বৃহত্তর নোয়াখালী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা এবং গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থী সম্বর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
সমিতির অনুষ্ঠান আয়োজক পরিষদ সভাপতি মির্জা গালিব আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দীন আহমেদসহ নির্বাচিত গুণীজনদের ও সমিতির সদস্যদের কৃতি সন্তানদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।