খবর ৭১: এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অনেক অঘটনের দেখাই মিলেছে। শ্রীলঙ্কার কাছে নামিবিয়ার হার দিয়ে শুরু। গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ডও হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে, বাজিয়েছে তাদের বিদায়ঘণ্টাও। এবার আরও এক অঘটনের জন্ম দিল আইরিশরা। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ৫ রানে। তাতে বিশ্বকাপের গ্রুপ-১ এর লড়াইটাও জমিয়ে দিল দলটি।
দিনের শুরুতে টস জিতে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আবহাওয়া নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না বলে। শেষে ব্যাট করার সেই সিদ্ধান্ত যে তাদের বিশ্বকাপটাই অনিশ্চিত করে দেবে, সেটা কি ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি?
আইরিশরা সেটাই করে দেখিয়েছে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা দলটি শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পল স্টার্লিংকে হারালেও অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি আর উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের কল্যাণে পাওয়ারপ্লেতে তুলে ফেলেছিল ৫৯ রান। দশ ওভার শেষে সেই রানটা গিয়ে ঠেকল ৯২-তে।
তবে ব্যক্তিগত ৩৪ আর দলীয় ১০৩ রানে টাকার রান আউট হয়ে ফিরে যেতেই বিপাকে পড়ে যায় আইরিশরা। তার বিদায়ের এক বল পরই হ্যারি টেক্টর আউট হন রানের খাতা খোলার আগে।
বালবার্নির লড়াইটা চলেছে আরও কিছুক্ষণ, ফিফটিও ছুঁয়ে ফেলেছেন এরপর। শেষমেশ থেমেছেন ৪৭ বলে ৬২ রান করে। দলীয় ১৩২ রানে তিনি ফিরলেন। আইরিশদের ইনিংসটাও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে এরপর। মার্ক উড আর লিয়াম লিভিংস্টোনের তোপে ১৩২-৩ থেকে চোখের পলকে ১৩৮-৬ হয়ে যায় দলটির স্কোরকার্ড।
গ্যারেথ ডেলানির অপরাজিত ১০ বলে ১২ রানের ইনিংসে আইরিশরা ১৫০ রান পেরিয়েছে এরপর। তবে উইকেট খোয়ানো বন্ধ হয়নি। তাই ইনিংসের চার বল বাকি থাকতেই ১৫৭ রানে অলআউট হয় দলটি।
জবাবে ইংলিশদের শুরুটাও ভালো হয়নি একটু। রানের খাতা খোলার আগেই ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে সাজঘরের পথ দেখান জশ লিটল। এক ওভার বিরতি দিয়ে অ্যালেক্স হেলসও ফেরেন, ইংলিশরা শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায়। বিপদটা বাড়ে ২৯ রানে বেন স্টোকসও ফিরে গেলে। ওপাশে দাভিদ মালান ছিলেন, তাকে সঙ্গী করে হ্যারি ব্রুক লড়াই শুরু করেছিলেন। তবে সেটা বেশিক্ষণ টিকল না। ১১তম ওভারে দলীয় ৬৭ রানে ফেরেন তিনি। দুই ওভার পর মালানও যখন ফিরছেন, তখন আইরিশদের রীতিমতো চলে আসে ম্যাচের চালকের আসনে।
মঈন আলী আর লিয়াম লিভিংস্টোন মিলে অবশ্য পরিস্থিতিটা বদলানোর চেষ্টা করছিলেন। ১২ বলে ২৪ রান করে আইরিশদের খানিকটা শঙ্কাতেও ফেলে দিয়েছিলেন মঈন। তবে তার পথটা এবার আগলে দাঁড়ায় বৃষ্টি। ৩৩ বলে ৫৩ রান চাই, এমন সময় বৃষ্টি নেমে আসে মেলবোর্নের আকাশ ভেঙে। তখনো ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে ইংলিশরা পিছিয়ে পাঁচ রানে। শেষমেশ সেটাই কপাল পুড়িয়েছে দলটির।
বৃষ্টির তোড়ে খেলা আর শুরু হয়নি। ফলে ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫ রানে জেতে আয়ারল্যান্ড। বিশ্বকাপ পেয়ে যায় আরও এক অঘটনের সাক্ষাৎ।