খবর৭১ঃ
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দুই প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দায়িত্বে ‘অবহেলা’ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার পিজিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এ ছাড়া আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার সন্ধ্যায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে চিঠি ইস্যু করা হয় বলে জানিয়েছে পিজিসিবি সূত্র।সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন— পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সিস্টেম প্রোটেকশন অ্যান্ড মিটারিং ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আল্লামা হাসান বখতিয়ার এবং সহকারী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনও বিকালে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করেই এই সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজই সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ৪ অক্টোবর ব্ল্যাকআউটের ঘটনায় মোট তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এর মধ্যে পিজিসিবির তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী এ দুই কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার থেকেই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘অন্য তদন্তে আর যারা জড়িত তাদের নামও বেরিয়ে আসবে। তখন তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিদ্যুতের জাতীয় সঞ্চালন লাইনে বিপর্যয়ের কারণে গত ৪ অক্টোবর একযোগে দেশের একটি বড় অংশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আসে। তবে এরপর থেকে লোডশেডি বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে গ্রিড বিপর্যয়ে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল দেশের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩২ জেলা। গত মাসে গ্রিড বিপর্যয়ে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল অঞ্চল ৪০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এর আগে ২০০২, ২০০৭ ও ২০০৯ সালেও গ্রিড বিপর্যয়ের বড় ঘটনা ঘটে।