খবর৭১ঃ দেশের মহানগর আর জেলা সদরগুলোতে দেড়শ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনায় এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার ইসির এ ‘রোডম্যাপ’ উপস্থাপন করেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক বিভেদ আর প্রশ্নের মোকাবিলা তাদের করতে হয়েছে। তার পরও গত ছয় মাসে ‘কিছুটা হলেও’ আস্থা অর্জনের দিকে ইসি এগিয়ে বলে তার বিশ্বাস।
অসুস্থ থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। তাই জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন।
তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্য একটিই— ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন করা।
আহসান হাবিব বলেন, আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এবং আমরা অনেক আস্থার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি— আমরা কিছুটা হলেও আগের থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি।
এ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেদের ‘জবাবদিহি ও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতাও’ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন এ নির্বাচন কমিশনার।
প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা রাখার কথা বলা হয়েছে ইসির কর্মপরিকল্পনায়। ইভিএম ব্যবহার করা হবে সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে। সে ক্ষেত্রে কেবল মহানগর এবং জেলা সদরের আসনগুলাতে ভোট হবে ইভিএমে।
নির্বাচনের পথে ইসির সামনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ এবং সেগুলো থেকে উত্তরণের ১৯টি উপায় নিয়ে বলা হয়েছে রোডম্যাপে। ভোটের আগের কাজের সূচিও প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে।