খবর৭১ঃ
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে আজও রাজধানীসহ সারা দেশে থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। ভোররাত থেকেই ঢাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এর ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামীরা বিপাকে পড়ছেন। বৃষ্টির কারণে যানবাহন সংকটে পড়ছেন অনেকেই। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এই বৃষ্টি প্রচণ্ড গরমে শান্তি এনে দিলেও স্বস্তিতে নেই নগরবাসী। এতে সড়কে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঢাকার মিরপুর, বাড্ডা, হাতিরঝিল, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। বাসা থেকে যারা ছাতা নিয়ে বেরিয়েছেন তারা কিছুটা রক্ষা পেলেও অনেককে কাকভেজা হয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
ঢাকার সড়কগুলোতে বুধবার সকালে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল। যে কারণে গাড়িতে চড়তে দুর্ভোগের শেষ ছিল না।
আবার সড়কে পর্যাপ্ত রিকশা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। বাস বা অটোরিকশার অপেক্ষায় রাস্তায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন তারা। কেউ কেউ গাড়িতে উঠতে পারলেও অন্যরা হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হন।
এদিকে সড়কে পানি জমে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। নিকট অতীতে এমন ভয়াবহ যানজটের শিকার হতে হয়নি নগরবাসীকে। যারাই ঘর থেকে বেরিয়েছেন, তারাই বর্ণনা দিয়েছেন- কতটা দুঃসহ ছিল এই অচলাবস্থা।
বুধবার ভোর থেকেই রাজধানীতে ছিল যানবাহনের জটলা। গাজীপুরের টঙ্গীতে লাগা এই জট ছড়িয়েছে গোটা রাজধানীতে। যার শিকার হয়েছে লাখ লাখ নগরবাসী। এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীতে যানজটের কারণে দশ মিনিটের রাস্তা এক ঘণ্টা লাগে, এক ঘণ্টার রাস্তা তিন ঘণ্টা লেগেছে।
বুধবার সকাল থেকেই টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, তেজগাঁও রামপুরা মগবাজার মালিবাগ, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী সায়েদাবাদ পোস্তাগোলা ও ধানমন্ডির প্রধান প্রধান সড়কে গাড়ির এমন অস্বাভাবিক প্যাঁচ লেগেছে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টায়ও শেষ হয়নি।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।