খবর৭১ঃ সত্তর বছর ধরে যুক্তরাজ্যের সিংহাসনে আসীন থাকা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে রানির মৃত্যু হয়েছে বলে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে।
রানি এলিজাবেথ বালমোরাল প্রাসাদে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাচ্ছিলেন। তার অসুস্থতার খবরে বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন প্রিন্স চার্লসসহ তার সন্তান-সন্ততিরা। দীর্ঘ অসুস্থতার পর ৯৬ বছর বয়সে বালমোরাল প্রাসাদে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রানির শরীরের অবস্থা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। নেটমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসসহ মন্ত্রী এবং সারা বিশ্বের রাজনীতিক ও ধর্মীয় নেতারা।
গেল অক্টোবর থেকেই রানির শরীর ভাল যাচ্ছিল না। তিনি ভালোভাবে হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না। বৃহস্পতিবার মায়ের অসুস্থতার খবর পেতেই বালমোরাল প্রাসাদে ছোটেন চার ছেলেমেয়ে— যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ এডওয়ার্ড (৫৮)।
চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়ামও পৌঁছে যান দাদীর কাছে। রানির আরেক নাতি উইলিয়ামের ভাই হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান ছুটে আসেন সুদূর আমেরিকা থেকে। রাজপরিবারের সংসর্গ ছেড়ে এখন আমেরিকায় থিতু হয়েছেন হ্যারি এবং মেগান।
মঙ্গলবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ দেন রানি এলিজাবেথ। সিংহাসনে বসার পর থেকে ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন ব্রিটেনের রানি। এই প্রথম প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই লিজকে অভিনন্দন জানান তিনি। সেই ছবিতে স্পষ্ট ধরা পড়েছিল রানির অসুস্থতা।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা রানির শারীরিক অসুস্থতার কথা ঘোষণা করে উদ্বেগ জানান। এরপরই রানির অবস্থা সংকটাপন্ন বলে খবর আসতে থাকে। রানির সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করা ক্যান্টারবেরিতে। চার্চ অব ইংল্যান্ডেরও প্রধান ছিলেন রানি এলিজাবেথ।