খবর৭১ঃ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুরা নানা সমস্যায় ভোগে। বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা ছাড়াও মানসিক রোগে ভুগতে পারে তারা। তাদের মধ্যে ভয়-জড়তা ও শঙ্কা কাজ করে। তাদের বোধবুদ্ধি কম থাকে।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুরা যেসব মানসিক রোগে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মানসিক রোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় বিশেষজ্ঞ ডা. মো. হারুনুর রশীদ।
বিষণ্ণতা
* সাইকোসিস
* বাইপলার মুড ডিসঅর্ডার (কম)
* শুচিবাই (OCD)
* ADHD.
* Autism
* ডিমেনসিয়া
* ডিলিরিয়াম
* স্টোরিও টাইপ বিহেবিহার ডিসঅর্ডার- হাত-পা অদ্ভুতভাবে নাচানো।
প্রকারভেদ
* মৃদু মানসিক প্রতিবন্ধী-IQ 50-69
* মধ্যম মানসিক প্রতিবন্ধী-IQ 35-49
* মারাত্মক মানসিক প্রতিবন্ধী-IQ 20-50
* অতীব মারাত্মক মানসিক প্রতিবন্ধী-IQ belwo 20.
শতকরা ৮০ ভাগ শিশু মৃদু মানসিক প্রতিবন্ধিতায় ভোগে।
চিকিৎসা
Training বা প্রশিক্ষণ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো যেমন- দাঁত মাজা, কাপড়-চোপড় পড়া, গোসল করা, Toilet করা শিখাতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাজার করা, টাকা গোনা, হিসাব-নিকাশ করা শিখাতে হবে। লেখাপড়ায় বেশি এগুতে না পারলেও সহজ কোনো কাজ শিখাতে হবে। যেটাকে সে একা বা কারও সুপারভিশনে পেশা হিসেবে নিতে হবে।
শিশুকে শারীরিক নির্যাতন করবেন না। এটা কোনো সমাধান নয়। স্রষ্টা আপনার উপরে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। পরিচালনকারী মা-বাবারও কাউন্সিলিং লাগে। আপনার ধৈর্য অবশ্যই বাড়াতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি চেষ্টা সফলতা বয়ে আনতে পারে। ওষুধ দিয়ে শিশুর বুদ্ধি বৃদ্ধি এখনও সন্তোষজনক নয়।
মস্তিষ্ককে বেশি বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। যতবেশি ব্যবহার করবেন ব্রেইন Activities তত বাড়বে। প্রতিবন্ধী শিশুর মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে হবে সাইকিয়াট্রির কাছে। এতে অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।
ওষুধ
অস্বাভাবিক আচরণ থাকলে
* Antidepressant -TCA, SSRI, SNRI ইত্যাদি।
* Antipsychotic – Haloperidol & others
* Benzodiayepine-তিন সপ্তাহের বেশি নয়।
আপনার মৃত্যুর পর প্রতিবন্ধী শিশু যাতে জীবন-যাপন করতে পারে সেজন্য Fund প্রথম থেকে যতটা সম্ভব সঞ্চয় করুন। প্রতিবন্ধী শিশু রাষ্ট্র থেকে ভাতা পায় তবে তা খুব সামান্য। ভবিষ্যতে তা বাড়াতে পারে। চাকরিতে কোটা আছে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে Free সুবিধা আছে। চেষ্টার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিশুকে Normal-এর কাছাকাছি নেয়া যায়।