আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশল গ্রহণের প্রত্যাশা

0
340

খবর৭১ঃ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে নতুন মাত্রা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ দিনের সফরে আজ ভারত আসছেন। কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর এ সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অনিষ্পন্ন ইস্যুসহ সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বাইরে বরাবরের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে। বাংলাদেশ ও ভারতে সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে একান্ত আলোচনায় গণতন্ত্র, নির্বাচন কিংবা রাজনৈতিক ভবিষ্যতের মতো বিষয়ে নেতারা কি আলোচনা করেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল রয়েছে। নির্বাচনের আগে দুদেশের শীর্ষ নেতাদের আর কোনো দ্বিপক্ষীয় সফরের সুযোগ কম।

এ সফরে ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা আছে। কিন্তু কূটনীতিকদের সাফল্যের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি। কারণ তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহ বেশি। কিন্তু এ বিষয়ে বড় কোনো অগ্রগতির সংবাদ এখনও জানা যায়নি। তবে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সরবরাহ ও সহযোগিতার জন্য দিল্লিকে প্রস্তাব দেবে ঢাকা। এ বিষয়ে ভারতের সম্মতি পাওয়া গেলে জ্বালানি ইস্যুতে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, ৩ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি আসছেন। এবারের প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই নেতার আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর বিভিন্ন বিষয়ে অন্তত সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যবহারসহ ছয়টি নদীর পানি বণ্টন সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। এছাড়া দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (সিইপিএ)-সেফা চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য যৌথ ঘোষণা দেওয়ার কথা আছে। সেই সঙ্গে ভারত যৌথ প্রতিরক্ষা উৎপাদনে একটি কাঠামো (সামরিক সরঞ্জাম কারখানা স্থাপন) চুক্তির জন্য জোর দিচ্ছে। অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরির বিষয়ে এই চুক্তিকে ভারত অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটে উঠবেন ১৭১ জন, যাদের মধ্যে দেশের শীর্ষ কূটনীতিক এবং ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে দুদেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মধ্যে সহযোগিতা, বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা, রেলের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তুতিও রয়েছে। ব্লু-ইকোনমিতে (সুনীল অর্থনীতি) সহযোগিতা এবং দুদেশের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম কর্তৃপক্ষের মধ্যে ইতঃপূর্বে স্বাক্ষরিত দুটি এমওইউ এবারের শীর্ষ বৈঠকের পর আবার নবায়ন করা হবে। নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ দুদেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনায় রূপসা নদীর ওপর নির্মিত সেতু উদ্বোধন করতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here