খবর৭১ঃ রাশিয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে দুভাগে বিভক্ত এখন ইইউ।
এরই মধ্যে রুশ নাগরিকদের ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ।
দেশগুলো হচ্ছে— ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়া। আর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেও ঢালাওভাবে এখনই রাজি নয় জার্মানি ও ফ্রান্স।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে নিষেধাজ্ঞার পাল্লা যেন ভারি করেই চলেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এবার রুশ নাগরিকদের ভ্রমণ ভিসা সুবিধা পুরোপুরি বাতিলের তোড়জোড় চলছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে।
রাশিয়ার পর্যটকদের জন্য ভিসা আবেদন সহজের লক্ষ্যে ২০০৭ সালে হওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তি স্থগিত করা নিয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসে জোটটি। পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ডসহ তিন বাল্টিক দেশ লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়া রুশ নাগরিকদের ভিসা সুবিধা পুরোপুরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেনজেন এলাকা ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপের আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের কাছে যৌথভাবে চিঠি দিয়েছে দেশগুলো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস্তোনিয়া উরমাস রেইনসালু বলেন, রাশিয়ার ওপর আটটি নিষেধাজ্ঞাসহ শেনজেন এলাকা ভ্রমণেও কড়াকড়ি আরোপ করতে ইউরোপীয় কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে এ অঞ্চলে রুশ নাগরিকদের যাতায়াত আরও কমবে।
এদিকে এখনো ঢালাওভাবে ভিসা বাতিলে জোটটির সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি জার্মানি ও ফ্রান্স। জার্মান চ্যান্সেলরের মতে, এতে হিতে-বিপরীত হতে পারে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যাতে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু ভিসা বাতিল করে সাধারণ রুশ নাগরিকদের বিপদ ডেকে আনা উচিত হবে না।
তবে শিগগিরই ইইউভুক্ত সব দেশকেই এ বিরোধ নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল।
এ অবস্থায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, পশ্চিমারা নিজের পায়ে নিজেই গুলি করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। ইউউর সঙ্গে করা চুক্তিটি বাতিল হলে রুশ নাগরিকদের ইউরোপের দেশ ভ্রমণে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ গুনতে হবে তাদের। এতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে রুশবিরোধী এজেন্ডাদের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পুতিন প্রশাসন পিছপা হবে না বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে মস্কো।