খবর৭১ঃ ঢাকার আশুলিয়ায় আলোচিত কলেজশিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার আসামি আশারাফুল ইসলাম জিতুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দাকার আল মঈন যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জিতুর বাবা উজ্বল হোসেনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বুধবার ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত- ৩ এর বিচারক শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তাকে রিমান্ডে পাঠান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে বুধবার ভোরে উজ্বলকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। সকালে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে ঢাকা মুখ্য বিচারিক আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে বুধবার ভোরে উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
উজ্জ্বলকে গ্রেফতারের পর উপপরিদর্শক এমদাদুল বলেন, উৎফল কুমার সরকার মারা যাওয়ার দিন গত রোববার তার বড়ভাই অসীম কুমার সরকার অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আফরাফুল ইসলাম জিতুকে প্রধান করে হত্যা মামলা করেন। এজহারে অজ্ঞাতনামা অনেককেই আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ওই মামলায় প্রধান আসামির বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে আশুলিয়ার সব স্কুলের শিক্ষকরা। বুধবার জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে টঙ্গী ইপিজেড সড়কে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় তারা বলেন, প্রতিটা স্কুলের শিক্ষকরা এখন কিশোর গ্যাং আতংকে রয়েছে। প্রশাসনের প্রতি শিক্ষকদের অনুরোধ যাতে কিশোর গ্যাং থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুক্ত রাখে। নয়তো উৎপলের মতো অনেক ঘটনা ঘটতে পারে। এ সময় তারা হত্যায় জড়িত মূল হোতাসহ অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
এর আগে গত শনিবার দুপুরে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মারধরের শিকার হন উৎপল কুমার সরকার। সভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত উৎফল কুমার সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতিও ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি গ্রামে।