খবর৭১ঃ দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান সংগ্রহ করে সফররত বাংলাদেশ। বোলিংয়েও ভালো করতে পারেননি টাইগার বোলাররা। শেষ বিকেলে খেলতে নেমে মাত্র ১৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলে স্বাগতিকরা। প্রথম দিন শেষে ১৬৭ রানে এগিয়ে থাকলেও স্বস্তি নেই বাংলাদেশের।
শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। সমতায় ফেরার এই ম্যাচে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিল সফরকারীদের। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। অ্যান্ডারসন ফিলিপের করা বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০ রান করেন জয়।
এদিকে আপনতালেই খেলে যাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল খান। এগোচ্ছিলেন অর্ধশতকের পথেই। কিন্তু প্রথম সেশনের ঠিক আগ মুহূর্তে আলযারি জোসেফের করা বলে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে আউট হন তিনি। ৬৭ বলে খেলা ইনিংসটি নয়টি চারে সাজানো। দীর্ঘ আট বছর পর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে নামা এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান।
বিজয় আউট হওয়ার পরের ওভারেই ২৬ রানে করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের উইকেটে খেলতে নেমে সাকিব আল হাসান ফিরেছেন মাত্র ৮ রানে। আর ৭ রানে আউট হন নুরুল হাসান সোহান। অহেতুক শট খেলে ৯ রানে আউট হন মিরাজ। এদিকে উইকেটের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝেও আপনতালে খেলে যান লিটন কুমার দাস। তুলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক। কিন্তু এরপর আর ব্যক্তিগত ইনিংসটা বড় করতে পারেননি তিনি। ৭০ বল খেলে করেছেন ৫৩ রান।
নবম উইকেটে ব্যাট করতে নেমে অনেকটা টি-টোয়েন্টি ধাচে ব্যাট করতে থাকেন শরিফুল ইসলাম। এ সময় ইবাদত হোসেনের সঙ্গে মাত্র ৩০ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। ১৭ বলে পাঁচ চারের মারে ৩৬ রান করেন শরিফুল। ১ রান করেছেন খালেদ আহমেদ। আর ৩৫ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন ইবাদত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আলযারি জোসেফ। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছে জেইডেন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও কাইল মেয়ার্স।
শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের পাত্তাই দেননি দুই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল। ওপেনিং জুটিতে অপ্রতিরোধ্য ৬৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩০ রানে ব্র্যাথওয়েট ও ৩২ রানে ক্যাম্পবেল অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় দিনের খেলায় আবারও ব্যাটিংয়ে নামবেন এই দুই ব্যাটার।