খবর৭১ঃ আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হতে পারে সম্ভাব্য লঘুচাপ। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে আগামীকাল শুক্রবার লঘুচাপটি তৈরি হলে সৃষ্টি হতে পারে বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আসানি। যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং বাংলাদেশও।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুখ সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগরের সম্ভাব্য লঘুচাপটি আগামীকাল সৃষ্টি হতে পারে। এখন পর্যন্ত সৃষ্টি হতে যাওয়া লঘুচাপটি পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশের দিকে মুখ করে আছে। তবে এর গতিপথ একেক সময় একেক দিকে দেখাচ্ছে। এ জন্য বলা মুশকিল, এটি তৈরি হলেও আসলে কোন দিকে ধাবিত হবে। তবে আমাদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী এটি পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশে আসবে।
বাংলাদেশে প্রবেশ করলে ঘূর্ণিঝড়টি কোন দিকে আঘাত হানতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না, এটি কোন দিকে আঘাত হানবে। যে কোনো দিকে আঘাত হানতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের পশ্চিম অঞ্চলে যেতে পারে আবার পূর্বাঞ্চলেও যেতে পারে। আগামী ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিষয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে।
এর আগে গত ২ মে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক জানান, ৬ মে শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। লঘুচাপটি তৈরি হলে সেটি পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট লঘুচাপের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যার নাম হবে ‘আসানি’। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশের উপকূলে চলতি মাসের ১০-১২ মের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।
আবুল কালাম মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘লঘুচাপটি আরও শক্তি অর্জন করে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। পরবর্তীতে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আন্দামান সাগরে এই লঘুচাপটির জন্ম হবে শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে। বাংলাদেশ থেকে এর দূরত্ব হবে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার কিলোমিটার। এই লঘুচাপ পরে ঘূর্ণিঝড় হবে কি না সেটি এ মুহূর্তে বলা কঠিন।