খবর৭১ঃ কয়েক সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে দুয়োধ্বনি শুনছিল ভারত। কারণ তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানোর বিষয়টি নিয়ে কোনো সমালোচনা করেনি।
ভারত যে রাশিয়ার শুধু সমালোচনা করেনি তা নয়। তারা উল্টো রাশিয়ার কাছ থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে অপরিশোধিত তেল কিনেছে।
এসব কারণে ভারত ভয় পায় এমন মন্তব্যও করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই ভারতের প্রতি নমনীয় হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ১১ এপ্রিল ভার্চুয়ালি কথা বলেন তখন দুই দেশের মধ্যে থাকা শীতল সম্পর্কের কথাই বার বার বলেছেন বাইডেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মানুষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে এবং তারা একই মূল্যবোধ পোষণ করেন।
কিন্তু রাশিয়ার সমালোচনা না করে উল্টো তাদের কাছ থেকে তেল কিনেছে ভারত। এরপরও কেন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুর তালিকায় রয়েছে ভারত।
তাদের বিরুদ্ধে কেন কঠোর কোনো কথা যুক্তরাষ্ট্র বলতে পারে না?
কারণটি হলো ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন।
লন্ডনের কিংস কলেজের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের প্রফেসর ভি পন্থ জানিয়েছেন, চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতকে প্রয়োজন। এ কারণেই ভারতের প্রতি নমনীয় যুক্তরাষ্ট্র।
চীন গত কয়েক দশক ধরে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নতি করে যাচ্ছে চীন। আর এর সঙ্গে এটির ছোট প্রতিবেশীগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দুটিই চায় চীন যেন প্রতিবেশীগুলোর ওপর এতটা প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। যা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের জন্য চিন্তার বিষয়।
চীন চাপে রাখতে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে কোয়াড নামে একটি সামরিক জোটও গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোটটি অক্ষুণ্ন রাখতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক রাখা ছাড়া উপায় নেই।