খবর৭১ঃ যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বন্দুকের গুলি দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে তরুণ আমেরিকানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল গাড়ি দুর্ঘটনা, এরপরে ছিল বন্দুকজনিত মৃত্যু। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমেছে, ২০২০ সালে ১৯ বছরের নিচে আনুমানিক ৩ হাজার ৯০০ আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে ১ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু আগের বছরের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
২০২০ সালে বন্দুক সহিসংসতায় মোট মিলিয়ে ৪৫ হাজার ২২২ জন আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে। দুই দশক আগের তুলনায় গত কয়েক বছরে এই মৃত্যু ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
সিডিসির গবেষণা অনুযায়ী, শিশু-কিশোরদের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সার্বিক প্রাণহানির হার ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
গুলিতে মৃত্যুর ঘটনাগুলোর মধ্যে হত্যার পাশাপাশি রয়েছে আত্মহত্যা, অবহেলাজনিত ও অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০২০ সালে কোভিড মহামারি শুরুর বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৪ হাজার ৩০০ শিশুর মৃত্যু ঘটে বন্দুক হামলা সংক্রান্ত কারণে।
আইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সুযোগ প্রায় অবাধ বলে যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ কোটি নাগরিকের হাতে ৩৯ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে এবং জাতিগত জনসংখ্যা জুড়ে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে বন্দুকজনিত মৃত্যুর হার বেড়েছে। কালো আমেরিকানদের মধ্যে এই হার বেশি বেড়েছে।
আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ স্পষ্ট না হলেও গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুমান করা যায় যে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মৃত্যু আগামীতে প্রাক-মহামারী স্তরে ফিরে আসবে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যে মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায়, সেই মৃত্যু থেকে আমরা আমাদের শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছি।