খবর৭১ঃ ঈদের বাকি আরও ১৭/১৮ দিন। এর মধ্যেই রাজধানীর শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম হয়ে উঠেছে লক্ষণীয় মাত্রায়। গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজধানীবাসী ঈদের কেনাকাটা মনমতো করতে পারেনি। এবার করোনার প্রকোপ কমে আসায় যেন প্রাণ ফিরেছে বড় বড় শপিং মলগুলোতে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, ইস্টার্ন মল্লিকা, গাজী ভবন, ইস্টার্ন প্লাজা, মৌচাক মার্কেটসহ একাধিক মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতাদের পদচারণায় ভরে উঠেছে মার্কেটগুলো। ব্যবসা ভালো হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। বসুন্ধরা সিটির টপ টেনের ব্রান্ড ম্যানেজার আবু সাইদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দুই বছর পর আমরা ভালোমতো ব্যবসা শুরু করতে পারছি। এবারের ঈদে আমরা দুই বছরের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। শুক্রবার তাই ক্রেতাদের সমাগম একটু বেশি। এমন সমাগম আশাকরি মাসজুড়ে হবে। এর মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাব।’
একই শপিংমলের ইনফিনিটি ব্রান্ডের ম্যানেজার সুমন মিয়া আশাবাদী হয়ে বলেন, দুই বছর ধরে তো আমরা লসের মধ্যেই ছিলাম। দোকান খুলেও সবকিছুর ভাড়া দেওয়া লাগছে। তবে এবার ক্রেতারা মার্কেটে আসছে অনেক। আশা করছি এভাবে ক্রেতারা আসতে থাকলে ব্যবসা সফল হবে এবারের ঈদ।
যমুনা ফিউচার পার্কে একজন ক্রেতা ইলমা জাহান। এসেছেন বারিধারা থেকে। তাকে অনেকটা খোশমেজাজে দেখা গেছে। কথা হলে তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত আনন্দের যে আমরা আবার আগের মতো করে মনমত কেনাকাটা করতে পারব। নিজের পছন্দমত কিনতে পারব সবকিছু।
ইলমার ভাষায়, আসলে দুবছর অনলাইন থেকেই বেশিরভাগ কেনাকাটা করতে হয়েছে। কিন্তু এবার নিজে এসে দেখে শুনে পছন্দমত কিনতে পারছি। এটা সত্যিই আনন্দদায়ক। আবারও ঈদের একটা অনুভূতি হচ্ছে। বাস্তবে শপিং করতে না পারলে ঈদের আমেজটা আসে না ওইভাবে। তাই এবার অনেক উৎফুল্ল লাগছে।