খবর ৭১: বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থা তাতে শঙ্কার কিছু নেই। সব সূচকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা হেয় করার শামিল।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে রাজস্ব ও অর্থ বিভাগ।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে ‘অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টি’ ও ‘শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন তুলে ধরা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ বিভাগ উপস্থাপন করে এই প্রেজেন্টেশন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ অর্থ সচিব, ইআরডি সচিব এবং ব্যাংকিং সচিবসহ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে শ্রীলঙ্কার চলমান সংকটের কারণ ও এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখা হয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক। প্রায় সব সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল আছে বলে মত প্রকাশ করা হয় বৈঠকে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায়, দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটি সমন্বিত রাজস্ব ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত বক্তারা জানান, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বড় কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনো ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে। এসময় প্রধানমন্ত্রী এ ধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন।