খবর ৭১: পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূলে নববর্ষ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার রমজানের মধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান হবে। তাই কোনো খাবারের দোকান খোলা থাকবে না। দুপুর ২টার মধ্যে বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। দুপুর ১টার পর কাউকে এই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে তল্লাশি করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ এলাকা নজরদারিতে থাকবে।
তিনি বলেন, রমনা বটমূলে প্রবেশে চেকপোস্ট থাকবে। চেক না করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনো যানবাহন এই এলাকায় চলবে না। রমনা এলাকায় ডগ স্কোয়াড সুইপিং করেছে, সন্ধ্যায় করা হবে এবং আগামীকালও করা হবে। নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল থাকবে রমনা পার্কের লেকের পানিতে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব, বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবার বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে। সীমিত আকারে এবার আয়োজন হবে।
তিনি বলেন, বর্ষ বরণে অন্যান্য বছর থেকে এবার একটু ভিন্নতা থাকবে। সেটি হলো- পান্তা ভাত ও মেলায় খাবারের দোকান। রমজানের কারণে এই আয়োজন থাকছে না। অনুষ্ঠানটি সীমিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে মানুষ এখান থেকে বের হয়ে খুব সহজে বাড়ি ফিরে ইফতার করতে পারে।
২০০১ সালে রমনার বটমূলে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সেই হামলাকে মাথায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কীভাবে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়, কোন রাস্তা দিয়ে কীভাবে নিয়ে যাব সেটার জন্য আলাদা দল প্রস্তুত থাকবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন জানিয়ে কমিশনার বলেন, যেখানে অনেক মানুষ একত্রিত হয় সেখানে নারীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হন। আমাদের মায়েরা, বোনেরা, সন্তানরা ইভটিজিং ও খারাপ আচরণের শিকার হন। সেটি চিহ্নিত করতে আমাদের সাদা পোশাকে উল্লেখযোগ্য সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে।
ছোট শিশুদের না আনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই এলাকায় শিশুদের না আনার অনুরোধ করছি। কারণ এই এলাকায় খাবারের কোনো দোকান থাকবে না। মুখোশ পরে আসা যাবে না। উচ্চ শব্দ তৈরি করে এমন বাদ্যযন্ত্র আনা যাবে না।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দিতে হলে তল্লাশির ভেতর দিয়ে যেতে হবে জানিয়ে কমিশনার বলেন, পয়লা বৈশাখের বিশেষ আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হলে চেকপোস্ট পার হয়ে প্রবেশ করতে হবে। মাঝ রাস্তায় চাইলেই কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সদস্যরা কঠোর আচরণ করতে পারে।
বেলা ১১টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে হবে। আর দুপুর ২টার মধ্যে রমনা এলাকায় মেলা গুটিয়ে ফেলতে হবে। ১টার পর প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে পুরো এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।