বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-ছেলে গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত মোরেলগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর এলাকার সোহবান মীর (৫২) ও তার ছেলে আজিজুল মীর (১৯) মুমূর্ষ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) ইফতারির পূর্ব মুহুর্তে মোহনপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে হামলার ঘটনায় আহত সোহবান মীরের স্ত্রী তানজীলা বেগম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এজাহার নামীয় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হামলাকারী ফেরদাউস শিকদার ও তার মা তানজিলা বেগম। আহত সোহবান মীরের স্ত্রী তানজিলা বেগম বলেন, প্রতিবেশী বাবুল শিকদারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়াদী নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আমার স্বামী ও ছেলে বাড়ি থেকে মসজিদে যাচ্ছিল ইফতারি করতে। হঠাৎ করে ফেরদাউস শিকদার, তার মা তানজিলা বেগম ও তার বাবা বাবুল শিকদার আমার স্বামী ও ছেলের উপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা আমার স্বামী ও ছেলেকে এলোপাথারি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। তাদের কোপে আমার ছেলের পেট কেটে গেছে। আমার স্বামীর মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়েছে তারা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার স্বামী ও ছেলেকে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেঝ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুইজনেই এখন আইসিউতে রয়েছে।
তানজিলা বেগম আরও বলেন, এর আগেও বাবুল শিকদার ও ফেরদাউস শিকদার আমাদের আমাকে মারধর করেছে। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।
ইলিয়াস শেখ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বাবুল শিকদারের দুই ছেলে ফেরদাউস শিকদার ও ইব্রাহীম শিকদার সন্ত্রাসী গোছের লোক। ইব্রাহিম একটি হত্যা মামলার আসামী। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ কথা বলে না। শুধু এলাকার সোহবান মীর ও তার ছেলে আজিজুল মীর নয়, ইব্রাহিম ও ফেরদাউস এলাকার অনেককে মারধর করেছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। এখন এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেছে। ওদের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই আমরা।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় আহতের স্ত্রী তানজিলা বেগম একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহার নামীয় দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।