খবর ৭১: রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা তথ্য ছাড়া মহাসড়ক, সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী কোনো গাড়ি থামানো যাবে না বলে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ফেব্রুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভায় সব মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা যুক্ত ছিলেন।
সভায় এআইজি (ক্রাইম ইস্ট) জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ফেব্রুয়ারি মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এতে দস্যুতা, খুন, দ্রুত বিচার, দাঙ্গা, অপহরণ, পুলিশ আক্রান্ত, সিঁধেল চুরি ও চুরি সংক্রান্ত মামলা জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে কমেছে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়। তবে জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা কিছুটা বেড়েছে বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় অনেক কমেছে। এছাড়া উদ্ধারজনিত মামলা জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়েছে। পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি মাসে জানুয়ারি মাসের তুলনায় মামলার সংখ্যা কমেছে বলে সভায় জানানো হয়।
অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘রোজা এবং ঈদকে কেন্দ্র করে শপিং মল, মার্কেটের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বা গুজব ছড়িয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। তিনি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন।’
সভায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।