খবর৭১ঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
অপর দুই আসামি নাজমুল আলম ও তার সম্বন্ধী আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
দণ্ডিতদের মধ্যে ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীর আলম নিহত তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার ছিলেন।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয় জনকে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চার জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে বেকসুর খালাস দেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।
পরে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
এর পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গত ২২ ফেব্রুয়ারি আপিল শুনানি শুরু হয়।
শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আদালত।