ফুলবাড়িয়া(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল টেকিপাড়া গ্রামে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ৫হাজার মুরগীর বর্জ্যে ও নিষ্কাশিত পানিতে ইমরান ফিসারীজের ১৭ লক্ষ টাকার মাছ মরে সাবার। দুর্গন্ধে অতিষ্ট এলাকাবাসী ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। মুরগির বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি দ্বারা গ্রামের আশে পাশের পরিবেশ ও ফসলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এসব বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ভূক্তভোগিরা। আর এসব দূষিত বর্জ্য ও নিষ্কাশিত পানির দুর্গন্ধে অনেকেই এখন এলাকাছাড়া। ফার্মের মুরগির বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি দ্বারা এলাকার পরিবেশ ও ফসলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে।
পোল্ট্রি খামারের নিষ্কাশিত পানি ও বর্জ্য প্রতিনিয়ত মাটিতে ফেললে মাটির মধ্যে মিথেন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। মিথেন গ্যাস মাটির শিকড় নষ্ট করে ফেলে। আর এ কারণেই ওইসব ফসলি জমিতে কোন ধরনের ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। এসব বর্জ্য ও নিষ্কাশিত পানি ফেলে আশপাশের পুকুরের মাছ মরে গেছে।
ইমরান ফিসারীজের মালিক আনোয়ারুল আজিম আকন্দ ইমরান জানান, মুরগির বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি দ্বারা আমার পুকুরের ১৫ হাজার পাঙ্গাস ও দেশী প্রজাতীয় ১৭ লক্ষ টাকার মাছ মরে এখন পথে বসে গিয়েছি। মুরগির ফার্মের মালিক আজিজুল হককে কিছু বলতে গলে মার মূখি হয়ে আসে। সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান হয়নি। এলাকাবাসির দাবি ফার্মের দূষিত বর্জ্যগুলো শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে মানবদেহের ত্বকের নানা সমস্যা হতে পারে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।