্স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিকলীগের ৫ নেতা গুরুত্বর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার আড়পাড়া বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
আহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আক্তার বিল্লাহ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজ বিল্লাহ, বারুইপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহির মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউস মোড়ল এবং বারুইপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রায়হান হোসাইন। এদের মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আক্তার বিল্লাহকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জহির মল্লিক বাড়ি ফিরেছেন। অন্যরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজ বিল্লাহ বলেন, বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে টুঙ্গিপাড়াস্থ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের আমরা আমন্ত্রণ জানাতে যাই। উজুলপুর বাজারে নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে দুটি মোটরসাইকেলে করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে আড়পাড়া বাজারে পৌছালে রাস্তার উপর বে ও গুনো ফেলে আমাদের পথ আটকায়। মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তার পাশ থেকে যাওয়ার চেষ্টা করি। এসময় বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হায়দার মোড়লের ছেলে অনিক মোড়ল, স্থানীয় মোস্তাকিন মোড়ল, হালিম মোড়ল, এরশাদ মোড়ল, ইরফান মোড়ল, ইমাম মোড়লসহ ৪০-৫০ জন আমাদেরকে এলাপাথারি মারপিট শুরু করে। এতে আমরা সবাই মোটরসাইকেল থেকে পরে যাই। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের কোপাতে থাকে। ওদের কোপে আমি ও আক্তার বিল্লাহ‘র মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে যায়। আক্তার বিল্লাহ মনে হয় বাঁচবে না এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা।
বারুইপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব ও বাগেরহাট পৌরসভার নকশাকার ইঞ্জিনিয়ার রায়হান হোসাইন বলেন, দলীয় কাজ শেষে ফেরার পথে কোন কারণ ছাড়াই আমাদের উপর হামলা করেছে। এতে আমরা পাঁচজন গুরুত্বর আহত হয়েছি। তারা যে শুধু আমাদের উপর হামলা করেনি, এর আগে এলাকার অনেককে মারধর করেছে হালিম মোড়ল ও তার সঙ্গীরা। তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সদর থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।