খবর৭১ঃ চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলকারী রাশিয়ান বাহিনী সেখানকার একটি পরীক্ষাগার ‘লুট ও ধ্বংস’ করেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই দাবি করেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের স্টেট এজেন্সি ফর এক্সক্লুশন জোন ম্যানেজমেন্ট জানায়, চেরনোবিলে সেন্ট্রাল অ্যানালাইটিক্যাল ল্যাবরেটরিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন রাশিয়ানরা, যেখানে প্রচুর তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করা হতো।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, পরীক্ষাগারে ‘অত্যন্ত সক্রিয় নমুনা এবং রেডিওনুক্লাইডের নমুনা রয়েছে, যেটি এখন শত্রুপক্ষের হাতে রয়েছে।
সংস্থাটি আরও দাবি করছে, ল্যাবটি স্থাপনের জন্য প্রায় ৬ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছে, সেখানে ‘মূল্যবান বিশ্লেষণাত্মক সরঞ্জাম’ রয়েছে, যা ইউরোপের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
১৯৮৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেখান থেকে ইউরোপের একটি বড় অঞ্চলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়েছিল। এটি চেরনোবিলের বিপর্যয় হিসেবে পরিচিত। চেরনোবিল বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত। ওই দুর্ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর পারমাণবিক দুর্ঘটনা বলা হয়।
এর কয়েক দশক পর পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে চেরনোবিল। তবে রুশ আগ্রাসনের সপ্তাহখানেক আগে সেখানে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার প্রথম কয়েক দিনের মধ্যেই চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিজেদের দখলে নেন রাশিয়ানরা।