বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: বন্ধুর জন্মদিন। তাকে চমকপ্রদ উপহার দিতে কিংবা খুশি করতে কতই না আয়োজন করে নিকট আত্মীয় কিংবা কাছের বন্ধুরা। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে জন্মদিনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে অবাক না হয়ে উপায় নেই। বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বন্ধুকে বেঁধর রেখে জন্মদিন উদযাপন করছেন তার সহপাঠী ও বন্ধুরা।
কেউ আবার তাকে ডিম মারছেন, কেউবা আটা মাখাচ্ছেন আবার কাউকে চড় থাপ্পড় দিতেও দেখা যায়।
তবে এদের কেউই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রী কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যয়নরত তারা। স্থানীয় হওয়ায় ক্যাম্পাসে অবাধে যাতায়াতের পাশাপাশি সহসাই এ ধরনের কর্মকান্ড করছেন তারা।
জানতে চাইলে জন্মদিন পালনকারী শিহাব, মামুন জানান, বন্ধুর জন্মদিন পালনে এ ধরনের উদযাপন এখন ট্রেন্ড। আমরাও মজা করতেই এমন করছিলাম।
তবে তাদের বন্ধু রিমন জানান, এ ধরনের উদযাপন করবে বন্ধুরা আমি ভাবিনি। আমি প্রথমে মজা পেলেও পরবর্তীতে বিরক্ত হয়েছি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের এমন কর্মকান্ডে বিরক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। সিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী জানান, প্রায়ই বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার পাশাপাশি ছাত্রদের সাথেও নানা বিষয়ে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হচ্ছে। প্রশাসনের পদক্ষেপ জোরালো না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী জোরালো প্রতিবাদ জানায়। এ নিয়ে তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সিকিউরিটি অফিসার প্রক্টরিয়াল বডি কে জানালে বহিরাগতদের আটক করেন তারা। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম জানান, এ ধরনের উদযাপন অবশ্যই কাম্য নয়৷ জন্মদিন মানুষের জীবনে একটি সুন্দরতম দিন। নতুন প্রজন্ম এই দিনটিকে এমন কুৎসিত উদযাপনের জন্য বেছে নেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক। আমরা তাদের বুঝিয়েছি। তারা ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।