মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর :
সর্বগ্রাসী দূর্নীতিতে আচ্ছন্ন জনবিরোধী এই সরকারের বিরুদ্ধে আমেরিকা কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে লবিষ্ট নিয়োগ করেছে সজিব ওয়াজেদ জয়। কিন্তু শতচেষ্টা করেও তারা আর নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে পারবেনা। জনগন অচিরেই দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করা এই সরকারকে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। যা হবে বাংলাদেশের জন্য অন্যরকম এক ইতিহাস। কারণ এদেশে কখনই কোন স্বৈরাচারী স্থায়ী হতে পারেনি, হাসিনার সরকারও তা পারবেনা।
কথাগুলো বলেছেন বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া। সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ও সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিকেলে সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা: জিকরুল হক রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে সামনে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক। সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আব্দুল বাতেন শামীম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ, যুবদলের রংপুর বিভাগীয় সম্পাদক রুহুল আমিন।
সৈয়দপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শাহিন আকতার শাহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য বলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জিয়াউল হক জিয়া, এ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান, কাজী একরামুল হক, প্রভাষক শওকত হায়াৎ শাহ, আব্দুল খালেক, সামসুল আলম, শফিকুল ইসলাম জনি, আলহাজ্ব রশিদুল হক সরকার। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ছিলেন, সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক রেজাউল করিম লোকমান, সদস্য সচিব রেয়াজুল হক লিটন, পৌর আহবায়ক শেখ বাবলু, সদস্য সচিব এরশাদ হোসেন পাপ্পু, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আল মামুন, জেলা যুবদল সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক তারিক আজিজ। সৈয়দপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম মল্লিক, ওলামাদল সভাপতি ক্বারী মাকসুদুল ইসলাম, মহিলা দল সভাপতি রওনক জাহান রিনু, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেজওয়ান আকতার পাপ্পু, সদস্য সচিব নঈম সরকার, কৃষকদল আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম বসুনিয়া মিজু ও সদস্য সচিব সাদেদুজ্জামান সরকার দিনার প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি আবুল খায়ের ভুঁইয়া আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং সকল বৈষম্য দূরীভূত করে মানবিক সমাজ গড়ে তোলা। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে এর ধারে কাছেও নেই। কারন তারা কখনই এদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং মুক্তিযুদ্ধেও তাদের কোন ভূমিকা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার ঘোষণায় বাঙ্গালী জাতি উজ্জিবিত হয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অথচ আজ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার বানিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট বিক্রি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। তবে জনগণ তাদের নাটক বুঝে গেছে। আর কোন মাটক সফল হবেনা। সামাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেকে রহমানের নির্দেশে এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা আসছে খুব শিগির। তার নির্দেশনা আসা মাত্রই আদোলনে নেমে রাজপথে থাকতে হবে। এজন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান তিনি।