খবর৭১ঃ টানা দেড় ঘণ্টা নিলাম কার্যক্রম শেষে ইভ্যালির রেঞ্জ রোভার গাড়িটি ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এটি কিনেছেন ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।
নিলামের শুরুতে গাড়িটির ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আরও ৬টি গাড়ির নিলাম প্রক্রিয়াধীন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ির ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে দুপুরে আদালত কর্তৃক গঠিত ইভ্যালির বোর্ড সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির সাতটি গাড়ি নিলামে তোলেন।
ইভ্যালির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবীর মিলন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিলামের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশনায় এসব গাড়ি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিলাম চলাকালে ইভ্যালির কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নিলামের তালিকায় রেঞ্জ রোভার ছাড়াও রয়েছে একটি টয়োটা প্রায়াস, একটি টয়োটা সিএইচআর, দুটি টয়োটা এক্সিও, একটি হোন্ডা ভেজেল ও একটি টয়োটা মাইক্রোবাস।
এসব গাড়ির ন্যূনতম সর্বমোট মূল্য দুই কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টয়োটা প্রিয়াসের ন্যূনতম দর ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, টয়োটা সিএইচআর দর ১৮ লাখ টাকা, টয়োটা এক্সিওর দর ৯ লাখ ১৮ হাজার, হোন্ডা ভেজেলের দর ১৬ লাখ ও টয়োটা মাইক্রোবাসের ন্যূনতম দর ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই নিলামের মাধ্যমে ইভ্যালির কাছে ক্রেতাদের পাওনা পরিশোধে দৃশ্যমান কার্যক্রম শুরু হলো। আরও কিছু গাড়ির সন্ধান মিলেছে যা রাসেল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে অন্যদের দিয়েছিল। এরকম চারজনকে গাড়ি জমা দিতে বলা হয়েছে। জমা না দিলে রোববার থেকে পুলিশি অভিযানে যাবে ইভ্যালি।
এর আগে, ৩১ জানুয়ারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ের দুটি লকার ভেঙে মাত্র ২ হাজার ৫৩০ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া দেড় শতাধিক বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ই-ভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।