করোনায় আরও ৩০ জনের মৃত্যু

0
220

খবর ৭১: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ জন মারা গেছেন। এ সময় শনাক্ত রোগী সংখ্যা নেমে এসেছে ১০ হাজারের নিচে। শনাক্তের হার এসেছে ২৫ শতাংশের নিচে। তবে একইসঙ্গে কমেছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫২ জন। আর শনাক্ত হওয়া এই রোগী সংখ্যা গত ২২ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। ওইদিন ৯ হাজার ৬১৪ জনের শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। ২৩ জানুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ৯০৬ জনে দাঁড়ায়। এরপর ২৬ জানুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৩ জনে পৌঁছায়।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও অনেক কমে এসেছে। অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৯ হাজার ৭২৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ হাজার ৪৪৫টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৫ হাজার ৬৮ ৪৪টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪০ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭০টি।

অধিদফতর জানাচ্ছে, নতুন শনাক্ত হওয়া ৯ হাজার ৫২ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ আর মারা যাওয়া ৩০ জনকে নিয়ে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ৫২৪ জন।

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় হাজার ২৮২ জন। তাদের নিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন বলেও জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক চার শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন আর নারী ১১ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ২১৪ জন আর নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ৩১০ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনের বয়সই ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এরপর ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। ৫১ থেকে ৬০ আর ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সীদের মৃত্যু হয়েছে চারজন করে। আর ২১ থেকে ৩০ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যেও মারা গেছেন দুইজন করে। মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে কেবলমাত্র ঢাকা বিভাগেই মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দুইজন আর বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন একজন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৩ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন সাতজন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here