সুন্দরগঞ্জে মারুফ হত্যাকারীর শাস্তি দাবী

0
282

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে ও পরান কে আলী দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মারুফ হোসেন (১৪)কে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করেছেন নিহত মারুফের স্বজনরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহা-সড়কের ছাপড়হাটী ইউনিয়নের শোভাগঞ্জ বাজারের অদূরে (সতীর বাঁশঝাড়) থেকে শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের নিকট (ফোরকানীয়া বাজার) প্রদক্ষিণ করে। এ সসময় পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ৬০-৭০ জন নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী স্বজনদের নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন নিহত কিশোর মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম ও মারুফের মা মমতাজ বেগম। এতে অংশ গ্রহণকারী নিহত মারুফের দাদা শহিদুল ইসলাম, চাচা রফিকুল ইসলাম ও মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) তার ছেলে মারুফকে শয়নঘরে ডেকে নিয়ে আবু তাহের শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনার পর হত্যাকারীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় শ্যালক আবু তাহেরসহ ৭ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করেন তিনি। আবু তাহের শান্তিরাম গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে ও নিহত মারুফের মামা। তিনি মারুফ হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার কিছু দিন আগে মারুফ পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনে তার মামা আবু তাহেরের একটি মোবাইলফোন নেয়। আনোয়ারুল ইসলাম তার ছেলে মারুফের কাছ থেকে আবু তাহেরের ঐ মোবাইলফোনটি নিয়ে তার কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান। মোবাইলফোন ফিরে না পেয়ে আবু তাহের ক্ষীপ্ত হয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন। থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) আব্দুল আজিজ জানান, মামলাটির আইও এসআই রাশেদুল ইসলাম। তবুও, বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখতে নিজেও কাজ করছি। ঘটনার আগে আবু তাহেরের কাছ থেকে তার ভাগ্নে মারুফ একটি মোবাইলফোন নিয়ে হারানোর কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে মোবাইলফোনটি নিয়ে ঢাকায় যায় মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম। তা জানতে পেয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে আবু তাহের এঘটনা ঘটিয়েছে বলে আবু তাহেরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here