খবর৭১ঃ সরকার অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর জোর দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে স্কুলগুলো হয়ত চালু রাখা সম্ভব হবে না। সে কারণে অনলাইন শিক্ষাটা যাতে প্রত্যেক ঘরে পৌঁছায়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দ্রুত বিস্তারের মধ্যে বিভিন্ন দেশে শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ বাড়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমটা চালু রাখতেই হবে। কারণ করোনা কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। আমরা সব সময় লক্ষ করেছি, শীতে এর প্রাদুর্ভাবটা বেড়ে যায়। কাজেই, এখন থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সেই প্রস্তুতিটা নিতে হবে।’
করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে টিকাদান অভিযান সহজলভ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কেউ আবার সংক্রমিত না হয় (করোনাভাইরাস দ্বারা) এবং কেউই যেন টিকা দান কভারেজের বাইরে না থাকে। সবাইকে কোভিড-১৯ টিকা নিতে হবে।’
এই করোনার মধ্যেও ফলাফল ঘোষণার সাফল্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।