রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন শৈলকূপা উপজেলার ২নংমির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক করছেন ২নং মির্জাপুর ইউনিয়ন জনপ্রিয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকায় মার্কা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ফিরোজ আহমেদ। গণসংযোগে তিনি এবার ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। প্রতিদিনই ২নং মির্জাপুর ইউনিয়ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে ইউনিয়ন বাসীর কাছে ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন তিনি।
এছাড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারদের আলাপচারিতায় সম্ভাবনার শীর্ষে আছেন ফিরোজ আহমেদ। তিনি শিক্ষা স্বাস্থ্য সংস্কৃতি, সালিশ বিচারে সচেতন, এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তাঁর অবস্থানে থেকে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান এলাকার সচেতন ভোটাররা। ফিরোজ আহমেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে গণসংযোগ করে জনগণের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন।
উদীয়মান যুবক এই সমাজসেবক ইতোমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত করে এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে তার নাম আলোচিত ফিরোজ আহমেদ। এলাকাবাসী এবার পরিবর্তন চাচ্ছেন। বিশেষ করে সচেতন যুব সমাজের বড় একটি অংশ নিজ উদ্যোগে ইউনিয়ন ওয়ার্ডের নতুন অভিভাবক খুজতে শুরু করেছেন। তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ক্লিন ইমেজের কর্মঠ তার ফিরোজ আহমেদ। পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সব ধরণের প্রচেষ্টা, তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
প্রতিদিন ইউনিয়ন ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় হেঁটে হেঁটে প্রচারপত্র বিলি করে জনগণের দোয়া ও ভোটারদের মূল্যবান ভোট চাইছেন ফিরোজ আহমেদ।বাড়ি বাড়ি ভোটারদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করে জনগণের ব্যাপক প্রশংসা ও সাড়া পাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকাতেই তার গণসংযোগ ও পথসভাতে যুবসমাজের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ এ জনপ্রিয়তার রহস্য কী? এমন প্রশ্ন স্থানীয় জনগণের। এদিকে আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ তরুণ দেখাতে পারেন বিশেষ চমক এমনটাই মনে করেন তার অনুসারী ভোটাররা।
স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, অতীতে ২নং মির্জাপুর ইউনিয়ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমাজিক কর্মকান্ডে ছিলো ব্যাপক অংশগ্রহণ। কিশোর বয়সেই বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ফিরোজ আহমেদ তিনি। তিনি ছিন্নমূল পথ শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ও বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে কাজ করে গেছেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। শীতে গরীব অসহায় মানুষের কষ্ট দূর করতে তিনি শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। ইউনিয়ন ওয়ার্ডবাসীর দুর্ভোগ লাঘোবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও সচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ডবাসীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাশে ছিলেন।
২নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীতা নিয়ে কথা হয় ফিরোজ আহমেদ সাথে। ইউনিয়ন ওয়ার্ডের জনগণের উন্নয়ন নিয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান তার নানা পরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, মাদক বর্তমান সমাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা। মাদক বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি আমি মাদকাসক্ত ছেলে মেয়েদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ মাধ্যমে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো। এছাড়া কিশোর গ্যাং ও ইভটিজিং প্রতিরোধে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি। ইউনিয়ন ওয়ার্ডে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে আমার বিশেষ নজর থাকবে। ইউনিয়ন ওয়ার্ডের জননিরাপত্তায় সমস্ত ওয়ার্ডে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও চুরি-চিনতাই রোধে আধুনিক পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া পানি, বিদ্যুৎ ও সংকট সমস্যা সমাধানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পাড়া মহল্লার খেলার মাঠগুলোকে অবমুক্ত করে দেবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভালো মানুষেরা এক হলে বদলে যাবে সমাজ। আমার বিশ্বাস ৫ জানুয়ারি ভোটাররা দলমতের উর্ধ্বে উঠে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে নৌকায় প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।