বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

0
309

খবর ৭১: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টা ভীষণ গর্বের, সম্মানের। বঙ্গবন্ধুর মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুনেই মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করতে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্নত্যাগের ফসল আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে জ্বলজ্বল করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন । অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার ভাতা প্রদানসহ বীর-নিবাস নির্মাণ করে দিচ্ছে।

তিনি আজ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা, ফ্রি চিকিৎসা সেবা, যাতায়াত সুবিধাসহ বিদ্যুৎ, পানি গ্যাস, বিল পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে। যাদের জমি আছে, ঘর নেই তাদের ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। আবার যাদের জমি ঘর কিছুই নেই তাদের সরকারের খাসজমিতে বাড়ি নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শুধু জীবদ্দশায় নয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পরও যেন যথাযোগ্য সম্মান পান এবং তাদের সমাধিটি যাথে যথাযথভাবে সংরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধ সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সুদীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেও বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল ছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাগণ যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। সে জন্যই আজ বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে।
মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আজকের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। মুজিববর্ষে নয় লক্ষ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুতফুল কবির, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাঊল্লা মন্ডল প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here