বাগমারা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারায় বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরদের জান্নাত চেয়ে মোনাজাত করায় বহিস্কার হলেন মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক। আব্দুর রাজ্জাক তাহেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। মোনাজাতের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এদিকে মুখ ফসকে মোনাজাতটি বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে বলে মাওলানা আ: রাজ্জাক দাবী করেছেন।
তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে তাহেরপুর কেন্দ্রী শহীদ মিনারে রাত ১২.০১ মিনিটে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার সহ সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাতটি পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি পৌরসভার বিষু পাড়া মহল্লায়। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই সাথে মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক প্রায় ১১ বছর যাবত পৌরসভায় মাস্টাররুলে চাকরী করে আসছেন। তিনি বর্তমানে বিচার বিভাগের দায়িত্ব রয়েছেন বলে জানাগেছে।
ভাইরাল হওয়া ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে মোনাজাতে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাবুদ জাতির জনক এবং তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছেন, তাদের সকলকে জান্নাত দান করে দিও আল্লাহ। ইয়া মাবুদ আমাদের দেশের জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে আমিন বলতে শোনা যায়।’ তবে মুখ ফসকে মোনাজাতটি বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে বলে মাওলানা আ: রাজ্জাক দাবী করেছেন। তিনি বলেন অন ইচ্ছাকৃত বিষয়টি বলেছি। আমি ভুল স্বীকার করে পুনরায় শুদ্ধ করে মোনাজাত করেছি।
এদিকে ভুল তথ্য দিয়ে মোতাজাত পরিচালনা করায় ১৭ ডিসেম্বর পৌর আওয়ামী লীগের এক জরুরী মিটিং এর সিদ্ধান্তে আব্দুর রাজ্জামকে ধর্ম বিষয়কের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সাথে পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তরে সুপারিশের জন্য একটি বহিস্কারাদেশ পাঠিয়েছেন।
তবে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ দাবি করেছেন, মোনাজাত করতে গিয়ে ভুলবসতঃ এমনটি হয়েছে। পরে তা সংশোধন করে নেওয়া হয়েছিল। সেই সাথে অনাকাঙ্খিত, অপ্রত্যাশীত একটি বাক্য উচ্চরণ করায় তাকে ধর্ম বিষয়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।