খবর৭১ঃ পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য খনিজ। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ঠিকমতো কাজ করতে এটি অনেক ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর স্নায়ু ফাংশন বজায় রাখা এবং তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করা হচ্ছে পটাশিয়ামের অন্যতম কাজ।
কিন্তু বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ মানুষই পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম গ্রহণ করেন না। আর এটির জন্য অন্যতম একটি কারণ হতে পারে— পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফল না খাওয়া।
পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে হঠাৎ করেই শরীর থেকে প্রচুর তরল হারাতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী বমি, ডায়রিয়া, অত্যধিক ঘাম এবং রক্তক্ষরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
জানুন শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি আছে কিনা বুঝবেন ৬ লক্ষণে—
১. দুর্বলতা ও ক্লান্তি
পটাশিয়ামের অভাব হলে তার প্রথম লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় দুর্বলতা ও ক্লান্তি। পটাশিয়াম পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আর রক্তে যখন পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়, তখন পেশি দুর্বল হয়ে সংকোচন তৈরি করে। এ ছাড়া পটাশিয়ামের ঘাটতি আপনার শরীর কীভাবে পুষ্টি ব্যবহার করবে তাকেও প্রভাবিত করতে পারে। ফলে ক্লান্তি দেখা দেয়।
২. পেশি ক্র্যাম্প বা খিঁচুনি
পেশি ক্র্যাম্প বা খিঁচুনি হচ্ছে পেশির আকস্মিক ও অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. হজমের সমস্যা
হজমের সমস্যার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে— পটাশিয়ামের অভাব। পটাশিয়ামের ঘাটতির কারণে পাচনতন্ত্রের সংকোচন দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং খাদ্যের চলাচলকে ধীর করে দিতে পারে। ফলে এটি শরীর ফুলে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৪. পেশিতে ব্যথা
পটাশিয়ামের অভাবের কারণে পেশি ব্যথা ও পেশি শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা আপনার পেশিতে রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আর এ মাত্রা অনেক কমে গেলে তা আপনার রক্তনালিগুলো সংকুচিত করে ও পেশিতে রক্ত প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করতে পারে।
৫. শ্বাসকার্যের সমস্যা
পটাশিয়ামের অভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ পটাশিয়াম রিলে সংকেতকে সাহায্য করে, যা ফুসফুসকে সংকোচন ও প্রসারিত করতে সহায়তা করে। আর যখন রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা মারাত্মক কমে যায়, তখন আপনার ফুসফুস সঠিকভাবে প্রসারিত ও সংকুচিত হতে পারে না। ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।
৬. মেজাজে পরিবর্তন
পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে তার ফলে মেজাজ পরিবর্তন ও মানসিক ক্লান্তি হতে পারে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে তা মস্তিষ্কের সংকেতগুলোকে ব্যাহত করতে পারে। ফলে মেজাজ পরিবর্তন ও মানসিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।