খবর৭১ঃ আমরা যে খাবার খাই তা কেবল আমাদের স্বাদই মেটায় না; বরং আমাদের শরীরকে পুষ্ট করে এবং অভ্যন্তরীণ সিস্টেমকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে সহায়তা করে।
বিভিন্ন খাবার আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ মেরামত করে, অঙ্গগুলোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং চাপ কমায়।
হলিস্টিক লাইফস্টাইল এবং ওয়েলনেস কোচ লুক কৌতিনহোর মতে, আমরা যে খাবার খাই তা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ মেরামত ও ডিএনএ স্বাস্থ্য ভালো রাখার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী এবং জেনেটিক রোগ থেকে আমাদের প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনের আলোকে জেনে নিন, ৫ সুপারফুড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
১. হলুদ
হলুদে কারকিউমিন নামক একটি সক্রিয় যৌগ থাকে যেটির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এর কারণে এটি ত্বক, হার্ট, জয়েন্ট ও অন্যান্য অঙ্গের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিয়মিত হলুদ খাওয়ার ফলে তা ক্যান্সার, আলঝেইমার বিষণ্নতা ও আর্থ্রাইটিসের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
২. ডালিম
ডালিম হল স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি, যা আপনাকে সুস্থ ও ফিট থাকতে সহায়তা করবে। এতে ভিটামিন সি, আয়রন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফোলেট, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন কে থাকে। আর ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য হৃদরোগ, ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস ও অন্যান্য প্রদাহজনক অবস্থাসহ বিভিন্ন গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে পারে।
৩. গ্রিন টি
গ্রিন টি একটি রিফ্রেশিং ও হাইড্রেটিং পানীয় ছাড়াও এটি পলিফেনল (প্রাকৃতিক যৌগ) সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমাতে এবং ক্যান্সারের মতো অনেক গুরুতর রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। গ্রিন টি পান করলে মেটাবলিজম বাড়াতে পারে এবং ক্যালোরি বার্ন হতে সাহায্য করতে পারে। তাই নিয়মিত এই পানীয়টি পান করলে তা ফ্রি র্যাডিক্যালের গঠন কমাতে এবং র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
৪. মাশরুম
মাশরুম হচ্ছে আরেকটি দুর্দান্ত খাবার, যেটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে ক্যালোরি কম, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, আয়রন, সেলেনিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে তা বিভিন্ন গুরুতর রোগ যেমন আলঝেইমার, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৫. নারিকেল তেল
নারিকেল তেলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো ত্বকের অবস্থা, মৌখিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে, দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া নারিকেল তেল শক্তিরও একটি দুর্দান্ত উত্স আর এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখতে সাহায্য করতে পারে।