খবর৭১ঃ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থ আত্মসাৎ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আবার পিছিয়েছে। রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ৯ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই মামলায় আজ (বৃহস্পতিবার) রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আজ রায় হচ্ছে না। আদালত রায় ঘোষণার জন্য ৯ নভেম্বর নতুন তারিখ রেখেছেন।
ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে আছেন। ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক আছেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ মামলার অভিযোগপত্র দেন।
২০২০ সালের ১৩ আগস্ট একই আদালত ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। চলতি বছর ২৪ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুদক ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ৫ অক্টোবর ধার্য করেন। কিন্তু ওইদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ২১ অক্টোবর ধার্য করা হয়।
গত ২৯ আগস্ট মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানি হয়। তবে এসকে সিনহাসহ চারজন পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানিতে অংশ নেননি। অপর সাত আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। পলাতক চার আসামির পক্ষে কোনো যুক্তিতর্কও উপস্থাপন হয়নি।