খবর৭১ঃ স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। মানিকগঞ্জের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেওয়া হবে। তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না সেজন্য ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম ব্যাপকহারে শুরু হবে।
প্রায় দুই মাস ধরে আলোচনা-মতবিনিময়ের পর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিল।
বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে ৫০ থেকে ১০০ শিক্ষার্থীকে টিকাদানের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির যাত্রা শুরু হবে।
বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এসব তথ্য জানান।
কর্মসূচির মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থীর কো-মরবিডিটি রয়েছে তারাও অগ্রাধিকার পাবেন। এরপর টিকা দেওয়া হবে নবম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পরে ধাপে ধাপে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে। স্কুল-কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় আসছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারের কাছে ৬০ লাখের মতো ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা মজুদ রয়েছে। এ টিকা দিয়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, বিশ্বের কয়েকটি দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজার-বায়োএনটেক ও মর্ডানার টিকা দেওয়া হচ্ছে। অন্য কোনো টিকা ১৮ বছরের কম বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এ কারণে অন্য টিকা মজুদ থাকলেও সেগুলো শিশুদের প্রয়োগ করা হবে না।