রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে যেসব পানীয়

0
291

খবর৭১ঃ রক্তচাপ সম্পর্কে সচেতন থাকার বিকল্প নেই। সচেতন থাকতে নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা দরকার। উচ্চ রক্তচাপ হল সেই রোগ, যেখানে ধমনী দিয়ে স্বাভাবিকের থেকে বেশি গতিতে রক্ত প্রবাহ হতে থাকে। ফলে আর্টারির দেওয়ালে মারাত্মক চাপ পরে। আর এমনটা যদি দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকে, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! সেক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। অনেক কারণ এই রোগ হতে পারে। তবে মূল কারণ হল জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সুস্থ জীবনযাপন কাটাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু কিছু পানীয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। জেনে নিন কোন কোন পানীয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে-

লেবু পানি

লেবু পানি শরীরের জন্য কতটা উপকারি, তা আমাদের কারুরই অজানা নয়। এটি কোষগুলো পরিষ্কার করে। লেবুর জল শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। এছাড়া, এটি রক্তনালীগুলিকে নরম এবং নমনীয় করে তোলে, ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তাছাড়া লেবুর পানি ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি শরীর থেকে ফ্রি-ব়্যাডিকেল দূর করতেও সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস ঈষদুষ্ণ লেবু পানি পান করুন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মেথি পানি

মেথির পানি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যন্ত সহায়ক। ভালো ফল পেতে, প্রতিদিন রাত্রিবেলা এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পরের দিন সকালবেলা সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। ফল হাতেনাতে পাবেন!

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কার্যকর। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। তাছাড়া রেনিন এনজাইমের উপস্থিতিও রক্তচাপ কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক। আপনি সকাল বেলা ১ গ্লাস পানিতে, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

লাউয়ের রস

লাউয়ের রস স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও, অত্যন্ত সহায়ক। লাউয়ের রসে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, আয়রন, ফোলেট, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ বর্তমান। লাউ ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিয়ে পান করুন।

টমেটো রস

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টমেটোর রসও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটোর রস পান করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। তাছাড়া টমেটোর রস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে।

বেদানার রস

বেদানা ফোলেট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। বেদানাতে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান। বেদানার রস হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেদানার রস সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক উভয় রক্তচাপকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক।

বিটের রস

ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ বিটের রস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাঁচা বিটের রস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশি কার্যকর। নাইট্রেটস সমৃদ্ধ বিট রক্তচাপ-হ্রাসকারী প্রভাবের জন্য পরিচিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here