খবর৭১ঃ দেশজুড়ে টিকাদানে নতুন কর্মসূচি চালুসহ প্রতি মাসে অন্তত দুই কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
নতুন এ ‘ক্যাম্পেইনের’ আওতায় একইসঙ্গে ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সপ্তাহে একদিন টিকা দেওয়া হবে।
নতুন পরিকল্পনায় শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়েও কাজ চলছে। রোববার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে টিকা নিয়ে এ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটিসহ প্রায় দুই কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচিকে কীভাবে আরও সম্প্রসারণ করা যায় তা নিয়ে আমরা সচেষ্ট আছি। এ পরিমাণ টিকা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে। আমরা টিকা দেওয়ার সময় মাথায় রাখি যারা বয়স্ক তারা যেন টিকা পায়। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন।
তবে এই টিকাদান কর্মসূচি কবে শুরু হবে তা স্পষ্ট করেননি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি জানান, গণটিকাদান কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুলে টিকা দেওয়া হতো। স্কুল খুলে দেওয়ায় এখন অন্য জায়গায় টিকা দেওয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি উপজেলা অডিটরিয়াম বা বড় হল রুমে টিকা দেব।
ইউনিয়ন পর্যায়ে সাব সেন্টার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম থাকবে না, সপ্তাহে এমন দুই দিন আমরা কোভিডের টিকা দেব।
খুরশীদ আলম বলেন, ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা পেতে আগ্রহীরা উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে নিবন্ধন করবেন। এসএমএস পাওয়ার পর নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেবেন।
আইসিটি বিভাগ ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করে এসএমএস পাঠাবে। শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি সংবেদনশীল। কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিশুদের টিকার আওতায় আনা যায় তা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।