খবর৭১ঃ ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনের। একটি হলো টাইপ-১; অন্যটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস। এর বাইরেও দুই ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে। তবে এগুলো খুব কম দেখা যায়। এর একটি হলো, জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এবং অন্যটি আদার স্পেসিফিক বা অন্যান্য কোনো রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ডায়াবেটিস।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের হরমোন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. লায়েক আহমেদ খান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে প্রায় ৯৪ শতাংশ টাইপ-২-তে আক্রান্ত। এজন্য আমরা টাইপ-২ ডায়াবেটিস মেলাইটাস নিয়ে বেশি চিন্তিত এবং এর ইন্টিগ্রেশনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
কারা বেশি ঝুঁকিতে
সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের ডায়াবেটিস দেখা দেয়ার আশংকা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং যাদের বংশে বা জেনেটিক্সে ডায়াবেটিস আছে, তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। এর বাইরে যারা শরীর চর্চা করে না, সারা দিন বসে বসে থাকে, মোটা মানুষের এ ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা বেশি। আবার যারা ধূমপান করে বা দুশ্চিন্তা করে, তারাও ঝুঁকিতে রয়েছেন। গর্ভবতীদেরও এ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা থাকে।
প্রতিকারে করণীয়
প্রতিকারের জন্য দুটি ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। ইতিমধ্যে যারা আক্রান্ত, তারা চিকিৎসার দিকে যাবে। আর যাদের এখনো ডায়াবেটিস ধরা পড়েনি কিন্তু ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেকে বলতে পারে, এটি তো ছোঁয়াচে বা সংক্রামক না, তাহলে প্রতিরোধ কীভাবে সম্ভব?