খবর৭১ঃ
গত বছরের ৮ মার্চ করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। এরমধ্যে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। তবে এবার খুব শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে- এমনটাই বক্তব্য আসছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকেই জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২৪ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
এদিকে রোববার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে তাগিদ দিচ্ছেন। দেড় বছর ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মেডিকেল সাইডে লেখাপড়া কিন্তু কখনোই বন্ধ হয়নি। ইতোমধ্যে আমরা এমবিবিএস প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নিয়েছি। দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষারও ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৫ম বর্ষের পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিবেশী ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ওই সব দেশের সরকার করোনা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশ করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। পক্ষান্তরে আমাদের ছোট দেশে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় খুব সুষ্ঠুভাবে আমরা করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছি। করোনা পরীক্ষার একটি ল্যাব থেকে এখন দেশে সাড়ে ৭০০ ল্যাব হয়েছে। দেশের মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারছে। রাস্তাঘাটে পড়ে কেউ মারা যায়নি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড রয়েছে। সেখানে ওষুধপত্রসহ সব কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। চলমান এই ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে গত ২৬ আগস্ট। সে অনুযায়ী, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান ছুটি অব্যাহত থাকবে।