খবর৭১ঃ দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিয়েছেন আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালামসহ ৯২ জন নেতাকর্মী। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি হাবিবুল গণির নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জামিন পাওয়াদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফুটবলার আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালও রয়েছেন।
পৃথক আবেদনের শুনানি করে এই নেতাকর্মীদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে মহানগরের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতার সমাধিস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন।
এসময় মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হকের নেতৃত্বে মিছিলসহ সমাধিস্থলে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপরই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সংঘর্ষে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে সাবেক ফুটবলার ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকও রয়েছেন।
বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান অভিযোগ করেছেন, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করতে এসেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পেছন থেকে পুলিশ গুলি করা শুরু করে।
গুলিতে আহত হয়েছেন দাবি করে আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমাদের মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামও আহত হয়েছেন। আমার পিঠেও অনেক গুলি লেগেছে। বিনা কারণে এই কাজ করেছে কতিপয় পুলিশ সদস্য। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের রাবার বুলেট বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর শরীরে বিদ্ধ হতে দেখা গেছে। কয়েকজনের শরীর রক্তাক্তও হন।