খবর৭১ঃ নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে তিনবার ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের রো রো ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এর আগে গত ২৩ জুলাই সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় ‘শাহজালাল’ নামের রো রো ফেরি। তারও আগে একবার একটি পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনার পর নিজেদের ফেরিতে রাবারের আস্তর লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। তার আগে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুর পিলারে রাবারের আস্তর লাগানোর প্রস্তাব দেয় বিআইডব্লিউটিসির একটি তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আপাতত বাংলাবাজার শিমুলিয়া রুটে চলাচলকারী পাঁচ ফেরির সামনে ও পেছনে রাবারের আস্তর (ফেন্ডার) লাগানো হবে। এ জন্য আমরা ই-টেন্ডার আহ্বান করব।
এদিকে বারবার পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় ফেরির মাস্টারদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বুধবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পদ্মা সেতুতে বারবার ফেরির আঘাত লাগার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সচিব বলেন, পদ্মাতে হঠাৎ করে এমন কারেন্ট (স্রোত) সৃষ্টি হয়, যে ওই সমেয় কারো পক্ষে ফেরি কন্ট্রোল করা সম্ভব না। অনেক সময় মাস্টাররা নির্দিষ্ট রুট ফলো করেন না। তিনটি ঘটনা ঘটেছে রুট ফলো না করার কারণে। তিনটি ফেরিই উজানে না গিয়ে ক্রস এসেছিলেন। এ জন্য তিনটি ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, সেতুর পিলারের মাঝে ১৫০ মিটার ফাঁকা স্থান রয়েছে। পাইল ক্যাপ বাদ দিয়েও ১৩০ মিটার থাকে। ফেরি হলো মাত্র ১৫ মিটার। ৬-৭টি ফেরি চলাচল করলেও ধাক্কা খাওয়ার কোনো কারণ নেই। এজন্য আমরা সবাই বসে রুট ঠিক করে দিয়েছি। রুট ঠিক করে দেওয়ার পরও তিনটি ঘটনায় চালকের নেগলিজেন্সি (অবহেলা) ছিল।