আফগানিস্তানে ৩ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

0
195

খবর৭১ঃ আফগানিস্তানের বহু এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান। এর মধ্যে বহু প্রদেশের রাজধানীর দখল নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে তিন হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আফগানিস্তানের গণমাধ্যম টোলো নিউজ এ তথ্য জানায়।
তালেবানের হাতে দ্রুত কাবুলের পতন হতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক এবং নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্যই মূলত এসব সেনা পাঠাচ্ছে দেশটি।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, দূতাবাস থেকে কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তিন হাজার সেনা মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মেরিনের দুটি ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে তিনটি ব্যাটালিয়ান পৌঁছাবে।

তালেবানের দ্রুত অগ্রযাত্রার কারণে দেশটি থেকে আমেরিকানদের কম সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইতোমধ্যে তালেবান দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার এবং তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতের দখল নিয়েছে তালেবান।

কিরবি বলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে বেসামরিক কর্মীদের সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনতে এ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে জানান কিরবি।

পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেন, এসব সেনার কাছে নিজেদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রতিশ্রুতির কথা তারা তুলে ধরা হয়।

ইতোমধ্যে তালেবান আফগানিস্তানের ১৫ প্রদেশের রাজধানী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা।

দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগস্টেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করবে দেশটি। এর মধ্যেই তালেবান দেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই চলছে সংঘাত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here