খবর৭১ঃ
ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন থেকে টানা ১৯ দিন পর চলমান কঠোর লকডাউন বা বিধিনিষেধ রাখার পর আজ (১১ আগস্ট) থেকে শিথিল রাখা হয়েছে।প্রথম দিনেই যেন সড়কে গাড়ির মিছিল। হাইওয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন শহর-উপশহরে হাজার হাজার গাড়ি নেমেছে। সারা দিন তীব্র গাড়ির চাপে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয় কঠোর লকডাউন বা বিধিনিষেধ। পরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে এটি শিথিল করা হয়। তবে ঈদের তৃতীয় দিন ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবার কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এরপর আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়, যা গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ১২টায় শেষ হয়। আজ (বুধবার) থেকে প্রায় সবই খোলা রয়েছে।
এই বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় আজ (বুধবার) সকাল থেকেই যানবাহন চলতে শুরু করেছে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।সন্ধ্যায় ঢাকার বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট লেগে যায়।রাজধানী তার পুরনো চেহারায় ফিরে যায় এই যানজটে। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় কেনাকাটায় ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শপিংমল-মার্কেটে।
রাজধানীর সব সড়কেই একই চিত্র। বিশেষ করে ডিআইটি রোড (মালিবাগ টু কুড়িল), কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, তেজগাঁও, মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ি, নিউমার্কেট, বকশিবাজার ও ফুলবাড়িয়ার বিভিন্ন সড়কে যানবাহন যেন মহড়া দিচ্ছিল। বাম্পারের সঙ্গে বাম্পার লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। গণপরিবহণের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল পাল্লা দিচ্ছিল। স্থবির হয়ে যায় অতিরিক্ত যানবাহনে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ ও চাকরিজীবীরা।
এদিকে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গণপরিবহণে দাঁড়িয়ে যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে।
ফুলবাড়িয়া ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সালাহ্উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর আজই (বুধবার) গণপরিবহণ রাস্তায় নেমেছে। যানবাহন সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ডাইভারশন দিয়েও যানবাহন দ্রুত পার করা সম্ভব হচ্ছে না।