খবর৭১ঃ জিম্বাবুয়ে সফরের দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার দেশের মাটিতে চরম ফর্মহীন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯ বলে ২ রান করতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এর পরে বেশি সময় নাইমকে থাকতে দেননি জশ হ্যাজলউড।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেট হারিয়ে তিন ওভারে ২১ রান। ক্রিজে আছেন মাহেদি হাসান (০ রান) সাকিব আল হাসান (৪ বলে ১২ রান)।
ক্রিজে নতুন ব্যাটার হিসেবে সাকিব এসেই স্টার্কের তিন বলে তিন বাউন্ডারি মারেন সাকিব। বোল্ড হবার আগে ১২ বলে ৯ রান করেছেন নাইম।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েডরা। তবে এদিনও খুব ভালো শুরু পায়নি সফরকারীরা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বিশ্বাসের মূল্য রাখেন মাহেদি হাসান। ইনিংসের শুরুতে বল করতে এসে দেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারে হাত খুলতে যাওয়া অ্যালেক্স ক্যারিকে তুলে নেন মাহেদি। এর আগের ম্যাচেও ক্যারিকে আউট করেছিলেন টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার।
প্রথম ম্যাচে নাসুম ঘূর্ণিতে আড়ালে ছিলেন মুস্তাফিজ। আজ ৬ষ্ঠ ওভারে এসেই মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নেন জশ ফিলিপের উইকেট। ফিজের শর্ট লেন্থ বল না বুঝেই ব্যাট ঘুরিয়েছিলো জশ। ব্যাটে বলে না হওয়ায় সরাসরি লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে বল। অজিরা হারায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট।
পরে নিজের কোটার শেষ ওভারে এসে ‘ভয়ংকর’ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙ্গেন সাকিব আল হাসান। ৫৭ রানের জুটিতে মোয়েসেস হেনরিকসকে ফেরানোর পরে তার সঙ্গি মার্শও বেশি সময় থাকতে পারলেন না। শরিফুলের বলে নুরুল হাসানের ক্যাচ হওয়ার আগে জমা করেন প্রথম ম্যাচের মতো ৪৫ রান। অবশ্য আজ তিন বল কম খেলেছেন অন্যতম ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান।
শেষের দিকে ঝলক দেখান মুস্তাফিজ-শরিফুল। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অল্পতেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। দুর্দান্ত এক স্পেলে মুস্তাফিজ-শরিফুলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানেই থামে অজিরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের দরকার ১২২ রান।