খবর৭১ঃ করোনা মহামারির প্রকোপ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলার পর তা শিথিল করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্তের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তবে সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনার ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ কমানো আমাদের মূল লক্ষ্য। কী উপায়ে কাজ ঠিক রাখা যায়, আবার সংক্রমণ কমানো যায়, এমন সব বিকল্প উপায় নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নিতে একটু সময় লাগবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরাধে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, এরপর তা শিথিলের চিন্তা করছে সরকার। মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’
শিল্প, কল-কারখানা আগামীকাল রবিবার থেকে খুলছে। অন্যান্য অফিস খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগস্টের ৩ বা ৪ তারিখ আসতে পারে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে, তাহলে তো লকডাউন কঠোর থাকল না। শিল্প কারখানাও ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে। অন্যান্য অফিস পুরো খুলবে নাকি সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে, সেসব বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৩ কিংবা ৪ আগস্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার ওপর।’
যেসকল কর্মী ঢাকার বাইরে রয়েছেন, তারা এই মুহূর্তে কাজে যোগ না দিলে তাদের চাকরি যাবে না। শিল্প মালিকদের সঙ্গে সরকারের এ ধরনের আলাপ হয়েছে বলে জানান ফরহাদ হোসেন। বলেন, ‘কারখানা খোলার বিষয়ে আমরা শিল্প মালিকদেরকে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, যেসব কর্মী ঢাকাতে আছে, বিশেষ করে কারখানার আশেপাশে রয়েছেন তাদের দিয়ে কাজ করাবেন। শিল্প মালিকরাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা ঢাকায় থাকা কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু করবেন এবং যারা বাড়িতে গেছেন তারা চাকরি হারাবে না। শিল্প মালিকরা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় পর্যায়ক্রমে ওই সকল শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে আসবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ দেখে সবকিছুর সমন্বয় করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।