খবর ৭১: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তবে সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী সপ্তাহে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও আরও দুই দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে তিন দিন।
বুধবার (২৮ জুলাই) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপার ভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম।
এতে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহের রবি ও বুধবার (১ ও ৪ আগস্ট) এই দুই দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। বাকি তিনদিন (২, ৩ ও ৫ আগস্ট) ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে বেলা ৪টা পর্যন্ত।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলার বিষয়ে ১৩ জুলাই জারিকৃত সার্কুলারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঈদের আগে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলবে। এ সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় ১টি করে শাখা খোলা রাখতে হবে। অন্যান্য সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে ১টি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক ২টি শাখা খোলা রাখা যাবে।
গ্রাহকদের হিসাবে নগদ-চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট-পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা-অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সকল গ্রাহকের এবং উক্ত সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস-ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
সমুদ্র-স্থল-বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা, বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর-কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিতপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে যে সকল শাখা বন্ধ থাকবে সে সকল শাখার গ্রাহক সেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধ শাখার গ্রাহকদের গ্রাহক সেবা প্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে ওই শাখার দৃশ্যমান স্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে। সকল খোলা রাখা শাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব স্ব অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলের সময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসমূহ যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল-প্রধান শাখা এবং সকল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা থাকবে।