খবর৭১ঃ বিধিনিষেধ শিথিল করে মার্কেট খুলে দেয়ার পর চেনা রূপে ফিরে এসেছে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকা৷ শুক্রবার বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বিতীয় দিনে নিউ মার্কেটকে দেখা গেছে পুরনো চেহারায়।
সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল থাকবে বিধিনিষেধ। এ সময়ের মধ্যে খোলা থাকবে মার্কেট, শপিংমল। ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ।
বৃহস্পতিবার লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনেই দোকানের সাটার তুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে প্রথম দিনে ক্রেতাদের আনাগোনা তেমন ছিল না। আজ দ্বিতীয় দিন শুক্রবার হওয়ায় সকাল থেকে ক্রেতার ঢল নামতে শুরু করেছে নিউ মার্কেট এলাকায়।
নিউ মার্কেট, চাঁদনি চক, গাউসিয়া, ড. কুদরত ই খুদা সড়কসহ (এলিফ্যান্ট রোড) আশপাশের মার্কেট ও বিপণি-বিতানে সকাল থেকেই ক্রেতা আসতে শুরু করেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপ যতটা না বেড়েছে, তার চাইতে বেশি বেড়েছে ক্রেতা। বরাবরের মতই মার্কেটমুখী ক্রেতাদের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন নারী।
রাজধানীর মালিবাগ থেকে নিউ মার্কেটে এসেছেন সিনথিয়া ইসলাম। আলাপকালে তিনি বলেন, একটা শাড়ি কিনব। তাই এসেছি। সকাল সকাল আসলাম ভিড় যেন কম হয়।
এটি ঈদের কেনাকাটা কিনা জানতে চাইলে এই তরুণী বলেন, না, ঈদের কেনাকাটার জন্য আরও দুই, একদিন পর আসব।
একই কথা জানিয়েছেন লালবাগ থেকে গাউছিয়া মার্কেটে আসা শারমিন জাহান। তিনি বলেন, এখন টুকটাক যা লাগে, সেগুলো নিতে এসেছি। ঈদের কেনাকাটা আরও একটু পরে।
নিউ মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেটের ভেতরে অংশে ক্রেতাদের আনাগোনা স্বাভাবিক। দীর্ঘদিন পর দোকান খুলতে পেরে খুশি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা৷
গাউছিয়ায় নারীদের থ্রীপিছ বিক্রির দোকানের বিক্রেতা জুবায়ের হোসেন বলেন, কতদিন মার্কেট বন্ধ! সামনে ঈদ, এই সময় মার্কেট খুলতে না পারলে খুবই বিপদে পরতাম। আমগোও তো ঘর সংসার আছে।
এদিকে মার্কেট যে শর্তে খুলে দেয়া হয়েছে, সেই স্বাস্থ্যবিধিকে এখনও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছেন মার্কেটে আসা ক্রেতাদের অনেকেই। একই বিষয় লক্ষ্যণীয় হয়েছে কিছু বিক্রেতাদের ক্ষেত্রেও।
আজ বিকেল নাগাদ নিউ মার্কেট এলাকায় ক্রেতাদের একটি বড় ঢল নামতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এই ঢল কোভিড-১৯ সংক্রমণের সহায়ক হবে বলেও মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।