চিলমারী (কুুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
চিলমারীতে জরা-জীর্ণ ঘরে স্বামী, সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ছকিতন । কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রমনা ইউনিয়নের পশ্চিম খরখরিয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগম(৪০) স্বামী ছেলে-মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ভাঙ্গা একটি টিনের ঘরে। চালের টিনের ফুটো দিয়ে যেমন আকাশের তারা গোনা যায়, তেমনি বর্তমানে বর্ষাকালে ফুটো দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে বিছানা ও গায়ে। একটি ঘর না থাকায় ছেলে মেয়ের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছকিতন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগমের ঘরটির এমনই চিত্র দেখা যায়। প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগম রমনা ইউনিয়নের পশ্চিম খরখরিয়া এলাকায় মহুবর রহমানের স্ত্রী। স্বামী মহুবর রহমান(৫০) জোড়গাছ বাজারে একটি চায়ের দোকানে মেসিয়ারি(দিন মজুরী) কাজ করেন। তাও বর্তমানে করোনার জন্য দোকান বন্ধ থাকায়। মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ছকিতন বেগম বলেন, ছেলে মেয়ে ৫ জন তার মধ্যে বড় মেয়ে ও বড় ছেলেকে বিয়ে দিয়েছি তারা আর এখানে থাকে না এক মেয়ে দুই ছেলে এবং স্বামীকে নিয়ে কোন রকমে অন্যোর জায়গা আছি আমার স্বামী মানসিক প্রতিবন্ধী ও তার দুই পায়ে গুটি গুটি ঘাঁ দেখা দিয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ও চায়ের দোকান থেকে কাজ করে যে টাকা পাই ঔষধ আর সংসারের খরচ করতে শেষ হয়ে যায়, জমানোর মতো কোনো টাকা থাকেই না।স্বামী যদি একদিন কাজে না যায় তাহলে সেই দিন আর চুলে জ্বলেনা। ছেলে-মেয়েসহ উপবাসে দিন কাটাতে হয়। বৃষ্টি এলে টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে বিছানা ভিজে যায় আর ভিজা বিছানায় ছেলে-মেয়েসহ রাত কাটাতে হয়। আমার জীবনের শেষ চাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন আমাকে যেন একটি ঘর দেয়।৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র সুজন মিয়া জানান,সামান্য বৃষ্টি এলেই আমার বই খাতা ভিজে যায় তাই লেখা পড়া করতে খুব কষ্ঠ হয়।
জমির মালিক নাজির হোসেন(৬০) জানান,আমি মানবিক দিক থেকে আমি তাদেরকে ৪ শতাংশ জমিতে বাড়ী বানানোর জন্য জায়গা দিয়েছি ।আসলে তারা খুব কষ্টে আছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো.মাহবুবুর রহমান বলেন,ওই মহিলা আমার কাছে এসেছিলো খাস জমি পেলে তাকে ঘর করে দেয়া হবে।