খবর ৭১: কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে এক মৌসুম পর আবারও কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা। শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ গোলের সমতায় থাকে ম্যাচ।
এই ম্যাচটার নায়ক নিঃসন্দেহে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার হাতের বিশ্বস্ততায় আরও একবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আরও একবার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা তৈরী হলো সুপার স্টার লিওনেল মেসির। শিরোপা আক্ষেপ ঘোচানোর ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল।
অথচ ফাইনালের উঠার পথে কলম্বিয়া বাঁধা টপকাতে বেশ বেগই পেতে হয়েছে। যদিও শুরুটা আলবিসেলেস্তেদের ছিল দুর্দান্ত। তবে আরও একবার গোল মিসের মহড়া দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। যার শুরুটা ম্যাচের ৪ মিনিটে। লিওনেল মেসির থেকে পাওয়া বল জাল ছোয়াতে ব্যর্থ গঞ্জালেস।
লিডটা পেতে খুব যে বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে তাও নয়।৭ মিনিটে কলম্বিয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ করেন লাওতারো মার্টিনেজ। এবারও প্লে মেকার ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসি। ১-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
অবশ্য পরের মিনিটে একটা পাল্টা আক্রমণে যায় কলম্বিয়ানরা। তবে গোল পোস্টে ওই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ভরসার প্রতীক। এরপর আরও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরী করে স্ক্যালোনি শিষ্যরা। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় দ্বিগুণ হয়নি লিড।
৩৬ মিনিটে আলবিসেলেস্তেদের বুকে কাপন ধরিয়ে দিয়ে ছিলো কলম্বিয়া। তবে এবার আশীর্বাদ গোল পোস্ট। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগের এই মিসটার জন্য আক্ষেপ করতেই হবে গঞ্জালেসকে। মেসির কর্নার থেকে বলটার নিঁখুত ফিনিশিং যে করতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরে কলম্বিয়া। ৬২ মিনিটে লুইজ দিয়াজ দারুণ এক গোল করে সমতায় ফেরান দলকে।
৭৩ মিনিটে একেবারে সহজ সুযোগটা নষ্ট করে আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়া এবং মার্টিনেজ গোল পোস্ট খালি পেয়েও পারেননি দলকে এগিয়ে নিতে।
৮০ মিনিটেও মেসির কিক ফিরে বারে লেগে। ফলে সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়। অতিরিক্ত সময় না থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে প্রথম দুই শটে গোল করে মেসি এবং কৌয়াডরাড। কলম্বিয়ার দ্বিতীয় শট ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। এরপর ইয়েরিমিনা এবং কার্ডোনার শট ফিরিয়ে এক মৌসুম পরই আবারও দলকে ফাইনালে তুললেন এই গোলরক্ষক।
ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের সাথে সবশেষ মুখোমুখি হয়েছে ২০০৭ সালে। এর আগে কোপা আমেরিকায় মুখোমুখি হয়েছে ১৯৩৭, ২০০৪।